অভয়নগর ইউপি নির্বাচনী সংঘর্ষে পুলিশ ও প্রার্থীসহ আহত ১০
অভয়নগর ( যশোর ) সংবাদদাতাঃ যশোরের অভয়নগর উপজেলায় আটটি ইউনিয়নের নির্বাচন সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।
২৬ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ৮.০০টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪.০০টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। নির্বাাচন চলাকালে দুইটি কেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ, পোলিং অফিসার, চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি, টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে বলে জানা গেছে। এসময় পুলিশ ৭ জনকে আটক করে।
জানা গেছে, উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপুর ১২.৩০ টার দিকে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা জোর করে ভোট কাটতে গেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিম উদ্দিনসহ তার সমর্থকরা বাঁধা দিলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় পুলিশ ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি এবং এক রাউন্ড টিয়ারসেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে আনে। ফলে ভোটাররা ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে। ঘটনার দুইঘন্টা পর আবার ভোট শুরু হয়। এ সময় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিম উদ্দিনসহ ৪ জন আহত হয়। আহতদের অভয়নগর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই ইউনিয়নে ভাটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে একজন মেম্বর প্রার্থীর সমর্থকরা ব্যালট ছিনতাই করে নিয়ে যায়। প্রায় এক ঘন্টা ভোট বন্ধ থাকার পর আবার ভোট শুরু হয়। ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার এম এম ফারুক রেজা বলেন, কিছু ব্যালট নিয়ে গিয়েছিল তা পরবর্তীতে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুভরাড়া ইউনিয়নের বাসুয়াড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পুরুষ কেন্দ্রে স্বতস্ত্র প্রার্থী বিএম জাকির হোসেনের (আনারস প্রতীক) সমর্থকরা ব্যালট বাক্স ছিনতাই করতে গেলে পুলিশ সেখানেও ৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি এবং কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় হামলায় সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মুজিবুর রহমান ও পোলিং এজেন্ট আব্দুর রহমান, চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকির হোসেনও আহত হয়। এসময় পুলিশ ৭ জনকে আটক করে। এরপর সন্ত্রাসীরা নৌকা প্রতীকের সমর্থক লাভলু শেখের বাড়ি হামলা করে ভাংচুর করে। লাভলু শেখের স্ত্রী জেসমিন বেগম জানান, ১৫/২০ জন লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা করে আমাদের বসতঘর ভেঙ্গে দিয়ে গেছে।
পাইকপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্বরত আহত পুলিশ কর্মকর্তা এ এস আই মাসুদ রানা বলেন, ভোট কাটতে আসা লোকদের আমরা প্রতিহত করার সময় তাদের ছোড়া ইট আমার পায়ে লাগে।
বাশুয়াড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কান্তি মন্ডল বলেন, এলোপাথাড়িভাবে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টা করা হলে পুলিশ তা প্রতিহত করে। এসময় প্রায় এক ঘন্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখা হয়।