শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ থেকে আরও পাঁচ বছর নতুন কর্মী নিবে মালয়েশিয়া

 

মালয়েশিয়া থেকে বশির আহমেদ ফারুক: মালয়েশিয়ায় নতুন করে বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে দুইটি দেশ। বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগের এর আগের চুক্তি এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হওয়ার পর নতুন করে এ সমঝোতা স্মারক স্বক্ষরীত হয় যা পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য কার্যকর হবে।


দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান এবং বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ আজ ১৯ ডিসেম্বর রবিবার এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।


রাষ্ট্রিয় বার্তা সংস্থা বারনামা বলছে, মিঃ সারাভানান এক বিবৃতিতে বলেছেন যে সমঝোতা স্মারকে উভয় দেশের দায়িত্বের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা এবং বাংলাদেশের শ্রমিকদের পাশাপাশি উভয় দেশের বেসরকারী কর্মসংস্থান সংস্থার দায়িত্বগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।


মানবসম্পদ মন্ত্রী সারাভানানের মতে, সমঝোতা স্মারকটির বাস্তবায়ন একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ (জেডব্লিউজি) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে যা উভয় দেশের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত হবে ।
তিনি জানিয়েছেন, এ বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ২৬,৬৬৯ জন বাংলাদেশি কর্মরত আছ যাদের অধিকাংশই উৎপাদন খাতে ১ লাখ ১১,৬৯৪ জন এবং নির্মাণ খাতে ১লাখ ৩৬,৮৯৭ জন কর্মরত।


এম সারাভানান বলেন, মানবসম্পদ মন্ত্রনালয় শর্ত দিয়েছে যে নিয়োগকর্তারা যারা বিদেশী কর্মী নিয়োগ করতে চান তাদের ১৯৬৬ সালে শ্রমিকদের ন্যূনতম স্ট্যান্ডার্ড অফ হাউজিং অ্যান্ড অ্যামেনিটিস বিধানের অধীনে নির্ধারিত আবাসন বা বাসস্থান সুবিধা প্রদান করতে হবে।
বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের এ প্রক্রিয়ায় কর্মীকে নিজ দেশ থেকে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হবে । এ দেশে আসার পর তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার পর আবারও কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হবে । কোয়ারেন্টাইন শেষে বিদেশী কর্মীদের তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে নিয়ে যাওয়া হবে এবং বিদেশী শ্রমিকদের মেডিক্যাল এক্সামিনেশন মনিটরিং এজেন্সি (ফোমিমা) দ্বারা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে।


এছাড়াও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এমকেএন) সহযোগিতায় মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত এসওপির ভিত্তিতে বাংলাদেশিসহ বিদেশী কর্মীদের প্রবেশ কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

সম্পর্কিত শব্দসমূহঃ

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ

সর্বশেষ আপডেট