শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

উইঘুরদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে চীন: যুক্তরাজ্যভিত্তিক ট্রাইব্যুনাল

 

চীনে বসবাসরত উইঘুর মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়েছে। চীনা সরকারের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এই রায় দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্বাধীন ট্রাইব্যুনাল। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) এই রায় দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্বাধীন ট্রাইব্যুনালটি। যার ওপর নাম উইঘুর ট্রাইব্যুনাল।

শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ সিদ্ধান্তে আসার প্রাথমিক কারণ হিসেবে উইঘুরদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পরিচালিত জন্ম নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ্যকরণ ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেছেন।


আইনজীবী ও শিক্ষাবিদদের নিয়ে ট্রাইব্যুনালের প্যানেলটি গঠিত হয়। ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত ব্রিটিশ আইনজীবী স্যার জিওফ্রে নাইস। তিনিই এ রুল পড়ে শোনান।

জিওফ্রে নাইস বলেন, উইঘুর ও অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দীর্ঘ মেয়াদে কমানোর জন্য চীন একটি ইচ্ছাকৃত, পদ্ধতিগত ও সমন্বিত নীতির প্রয়োগ করেছে বলে আমরা প্যানেলের কাছে সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে।

তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালের প্যানেল বিশ্বাস করেন, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জিনজিয়াং অঞ্চলে মুসলিম সংখ্যালঘুদের নির্যাতন-নিপীড়নে প্রাথমিকভাবে দায়ী।

জিওফ্রে নাইস আরও বলেন, জিনজিয়াংয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যার কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি, তবে সেখানে জন্ম রোধের যে কথিত রাষ্ট্রীয় প্রচেষ্টা, তা গণহত্যার শামিল।

স্বাধীন ট্রাইব্যুনালের প্যানেল আরও বলেন, আমরা উইঘুর জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, নির্যাতন ও যৌন সহিংসতা সংগঠনের প্রমাণ পেয়েছি।

তবে ব্রিটিশ আইনজীবী জিওফ্রে নাইস নেতৃত্বাধীন এই ট্রাইব্যুনালের কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি বা শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা নেই বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

শিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে চীন সরকার। ট্রাইব্যুনালের রুলিংয়ের প্রতিক্রিয়ায় চীনের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, এটি একটি মেকি ট্রাইব্যুনাল। এ ট্রাইব্যুনাল জনগণকে প্রতারিত ও বিভ্রান্ত করার জন্য কিছু চীনবিরোধী গোষ্ঠীর ব্যবহৃত একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার।

যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক নেতা ও চীনবিষয়ক ইন্টার-পার্লামেন্টারি অ্যালায়েন্সের কো-চেয়ার স্যার ইয়ান ডানকান স্মিথ বলেন, চীনকে গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত করার সময় এসেছে।

সম্পর্কিত শব্দসমূহঃ

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ

সর্বশেষ আপডেট